ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওর) পরিচয়ে মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে লক্ষাধিক টাকা জরিমানার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ২নং নেকমরদ ইউনিয়নের ভূক্তভোগী নেকমরদ ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামের সাথে এমন ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ভূক্তভোগী নেকমরদ ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম জানান, শনিবার ২৬শে মার্চ দুপুরে ইউএনওর পরিচয়ে আমার ফোনে কল আসলে বলে যে, তোমার ওয়ার্ডে কয়টি মিষ্টির দোকান আছে? তুমি মিষ্টির দোকানে যাও এবং তাহাদের সহিত আমার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিয়া দাও। আমি তাহার কথামতে ৬টি মিষ্টির দোকানের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে দেই। এসময় তাহাদের কল করে বলে যে, ৩০/৪০ হাজার টাকা দাও,আর না দিলে প্রতি দোকানে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হবে। এ নিয়ে শনিবার রাতে ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম বাদী হয়ে অপরিচিত মোবাইল নং উল্লেখ্য করে একটি অভিযোগ দাখিল করে।

এ প্রসঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ (তদন্ত) মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে,তিনি বলেন,হ্যাঁ এরকম একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি,তবে ডিউটি অফিসারের কাছে ছিল কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা বলতে পারছিনা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন,আমার পরিচয়ে কেউ চাঁদা দাবি করবে এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। ভুয়া ইউএনও সেজে যে চাঁদা দাবি করেছে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য থানা পুলিশ কে আমি নিদের্শ দিয়েছি।